বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
দেশের সব বিভাগ ও জেলায় হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আজ (২৮ জুলাই) সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ময়মনসিংহের কিসমত রহমতপুর বাইপাসে জমি পরিদর্শন করেছেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন ময়মনসিংহ সংরক্ষিত আসনের এমপি মনিরা সুলতানা মনি, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান, ময়মনসিংহের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ন কবীরসহ বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ময়মনসিংহের সদর উপজেলার যেকোন একটি স্থানে নির্মিত হতে যাচ্ছে এই হাই টেক পার্ক। এর মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলাবাসী দ্রুতই তথ্যপ্রযুক্তির উন্নত সেবা পাবে। এবং একানে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে এক ট্যাটাসে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান তার ফেসবুক ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, “বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে ময়মনসিংহ জেলা আজ এক ধাপ এগিয়ে গেল । জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আজ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপনের জমি পরিদর্শন করেন। এর মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলাবাসী দ্রুতই তথ্যপ্রযুক্তির উন্নত সেবা পাবে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।”
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সংসদে বলেছিলেন, বিশাল বেকার সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তির কর্মী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) নানা পদক্ষেপ ও কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ১৮৮ জনকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার ৮২১ জনের আইসিটি শিল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে। ই-গভর্নেন্স ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে দুই হাজার ৯৭৫ জন সরকারি কর্মকর্তাকে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার জন্য সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, মাগুরা, নেত্রকোনা জেলায় এবং নাটোর সদর ও সিংড়া উপজেলায় ২১০০ জনের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে।